কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান কীভাবে মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছিলেন এর বর্ণনা শুনতে মামলায় রিমান্ডে থাকা আসামি বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলালকে ঘটনাস্থলে নেয়া হয়েছিল।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম তাদের নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র‌্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ‘এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত কাজের অংশ হিসেবে আসামিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। এটি তদন্ত কাজেরই অংশ।

মোস্তফা সরওয়ার আরও জানান, ‘আসামিদের সঙ্গে কথা বলে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদকে গুলি করার ঘটনা দুই মিনিটের মধ্যেই ঘটে। তাই এ দুই মিনিটের প্রতিটি সেকেন্ডের ঘটনাপ্রবাহ আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করছি। প্রতিটি সেকেন্ডই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ ঘটনার অনেক তথ্য-উপাত্ত আমরা সংগ্রহ করেছি’।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে কি তথ্য পেয়েছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা সরোয়ার বলেন, এ মুহূর্তে এটা বলা সমীচীন হবে না। এতে তদন্ত কাজ ব্যাহত হতে পারে। তদন্ত কাজটি এমনভাবে সম্পন্ন করা হবে, যাতে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও দোষী ব্যক্তি রক্ষা না পায় এবং নিরীহ লোক কোনো ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন। ঘটনাটি যে দুই মিনিটের মধ্যে ঘটেছে, এর প্রত্যেকটি সেকেন্ড আমরা গভীরভাবে অ্যানালাইসিস করছি। ’

টেকনাফের শামলাপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম ও র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক আজিম আহমেদ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাবের সিনিয়র এএসপি খায়রুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে হত্যার শিকার হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।